ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে পাহাড় কাটা বন্ধে যৌথ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: কক্সবাজারে পাহাড় কাটা বন্ধে এবার প্রশাসনের সাথে মাঠে নেমেছে দুদক কর্তৃপক্ষও। আজ মঙ্গলবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার অভিযানে জেলা প্রশাসন, দুদক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে পাহাড় কেটে নির্মিত ১৫/২০ টি অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। কক্সবাজার শহরের লাইট হাইজ এলাকার ফাতের ঘোনা নামক এলাকায় এ অভিযান চলে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ধরে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বয়ে শহর ও শহরতলীর পাহাড় কাটা বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রশাসনের অভিযানেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি পাহাড় কাটার ব্যাপারে মামলা মোকদ্দমা হলেও পাহাড়খেকো লোকজন এসবকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েই সমানে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

কক্সবাজার শহরের পাহাড়খেকোরা এমনই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে, তারা দিবারাত্রি একের পর এক পাহাড় সাবাড় করে চলেছে। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ (দুদক) এগিয়ে এসেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করতে অন্তত পাহাড়গুলোর কর্তন ঠেকাতে।

আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের লাইট হাউজ ফাতের ঘোনা নামক এলাকাটিতে যৌথ অভিযানে গিয়ে দুদকের উপ পরিচালক লুৎফুর কবির চন্দন রীতিমত হতবাক হয়ে পড়েন সুন্দর পাহাড়গুলোর খণ্ড খণ্ড চিত্র দেখে। এসব পাহাড় কেটেই নির্মাণ করা হয় অবৈধ বস্তি। সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত বস্তিগুলোতে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগ অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহও দিয়েছে। আজকের এ অভিযানে এরকম অবৈধ বিদ্যুতের ২০ /২৫ টি সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।

অভিযানে অংশ নিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা চকরিয়া নিউজকে জানান, শহরের এমন পাহাড়গুলোই এতদিন ধরে সৌন্দর্য বর্ধন করে আসছিল। কিন্তু পাহাড় কেটে ফেলার কারণে শহরের সৌন্দর্য একদিকে নষ্ট হয়ে পড়েছে অপরদিকে বর্ষায় পাহাড়কাটা মাটি গড়িয়ে নালা নর্দ্দমা ভরাট করে সৃষ্টি করছে সমস্যার পাহাড়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট কামরুল হাসান চকরিয়া নিউজকে বলেন, এবার দুদক সরেজমিন তদন্ত করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা আইনে এবং দুদক আইনে মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ চকরিয়া নিউজকে জানান, কক্সবাজারে পাহাড়খেকোরা যতদিন পর্যন্ত পাহাড় কাটা বন্ধ করবে না ততদিন পর্যন্ত সমানে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

পাঠকের মতামত: